জীবনের একটি প্রধান লক্ষণ হাসি ও আনন্দ
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ
জীবনের একটি প্রধান লক্ষণ হাসি ও আনন্দ। যার প্রত্যেক কাজে আনন্দ, স্ফূর্তি - তার চেয়ে সুখী আর কেউ নয়। জীবনে যে পুরোপুরি আনন্দ ভোগ করতে জানে আমি তাকে বরণ করি। স্থূল দৈনন্দিন কাজের ভেতর সে এমন একটা কিছুর সন্ধান পেয়েছে যা তার নিজের জীবনকে সুন্দর ও শোভনীয় করেছে এবং পারিপার্শ্বিক দশ জনের জীবনকে করে তুলেছে। এ যে এমন একটা জীবনের সন্ধান যার ফলে সংসারকে মরুভূমি বোধ না হয়ে ফুলবাগান বলে মনে হয়। সে সন্ধান সকলের মেলে না। যার মেলে সে পরম ভাগ্যবান। এরূপ লোকের সংখ্যা যেখানে বেশি সেখান থেকে কলুষ বর্বরতা আপনা-আপনি দূরে পালায়। সেখানে প্রেম-পবিত্রতা সর্বদা বিরাজ করে।
সারাংশ লিখন→১
জীবনকে শোভন, সুন্দর ও আনন্দমুখর করতে হলে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আনন্দকে লালন করতে হবে। যিনি এমন জীবনের সন্ধান পান তিনি পরম সৌভাগ্যবান। যে সমাজে এ ধরনের লোক বেশি সেখানে কলুষতা ও কদর্যতা থাকে না। সেখানে প্রেম, প্রীতি ও আনন্দ এসে জড়ো হয়।
সারাংশ লিখন→২
হাসি ও আনন্দ মানবজীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের পরিচয় বহন করে। ক্ষুদ্র বা বৃহৎ সকল কর্মে আনন্দঘন পরিবেশ বজায় রাখতে পারলে পারিপার্শ্বিক জীবন হয় সুন্দর ও শোভন। ফলে সমাজজীবন থেকে কদর্যতা দূর হয়ে প্রেম ও প্রীতির সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
সারাংশ লিখন→৩
সুখ-দুঃখের এ পৃথিবীতে জীবনের প্রতিক্ষণে আনন্দ উপভোগ করা খুব সাধনার কাজ। যে পারে সে পরম ভাগ্যবান। এরূপ লোকের সংখ্যা যে সমাজে যত বেশি সে সমাজে তত শান্তি বিরাজমান। কারণ, তারা সমাজের অন্যান্যদের মধ্যে সুখ সারে সক্ষম।
সারাংশ লিখন→৪
জীবনকে শোভন, সুন্দর ও আনন্দমুখর করতে হলে জীবনের প্রতিক্ষেত্রে আনন্দকে লালন করতে হবে। যে সমাজে আনন্দকে ধারণ করে এমন লোক বেশি সেখানে কলুষতা ও কদর্যতা থাকে না।
সারাংশ লিখন→৫
সংসারের প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে আমাদের আনন্দ খুঁজে নিতে হবে। যে হাসি আনন্দে নিজের জীবনকে ভরিয়ে তুলতে পারে সে জগৎটাকেও আনন্দময় করে তোলে। এ রকম মানুষই পৃথিবীকে পাপ পঙ্কিলতা মুক্ত করে প্রেমময় করে তোলে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৫টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।