আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে অর্থের বা বিত্তের ওপর নির্ভরশীল।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ:
আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে অর্থের বা বিত্তের ওপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল আগে যাবার নেশায় লক্ষ্যহীন প্রচ-বেগে শুধু আত্মবিনাশের পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষ যদি এই মূঢ়তাকে জয় না করতে পারে, তবে মনুষ্যত্ব কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সেখান থেকে আর হয়তো নামবার উপায় নেই, এবার উঠবার সিঁড়ি না খুঁজলেই নয়। উঠবার সিঁড়িটা না খুঁজে পেলে আমাদের আত্মবিনাশ যে অনিবার্য তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।
উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৫টি সারাংশ দেওয়া হল:সারাংশ লিখন→ ১
অর্থ-বিত্তের লোভে মানুষ এতটা উন্মত্ত হয়েছে যে, সে তার বাস্তব জ্ঞানও হারিয়ে ফেলছে। মানুষ তার মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে ক্রমশ আত্মবিনাশের পথে এগিয়ে চলেছে। এ অবস্থা থেকে পিছিয়ে আসার উপায় হয়তো নেই। কিন্তু গোটা মানব জাতির মঙ্গলের জন্য এ নেশা পরিত্যাগের পথ খোঁজাটা আজ অপরিহার্য।
সারাংশ লিখন→ ২
বর্তমান পৃথিবীতে অর্থবিত্তের প্রভাব ব্যাপক মানুষ অর্থের মোহে ঘুরপাক খাচ্ছে অন্ধের মতো। বিবেক ও মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে লিপ্ত হচ্ছে আত্মবিনাশে। মনুষ্যত্বকে বাঁচাতে হলে সর্বনাশা অর্থমোহ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণ করা একান্ত জরুরি।
সারাংশ লিখন→ ৩
আজকের দুনিয়ায় লক্ষ্যহীন নেশার মতো মানুষ কেবল ধন-সম্পদ বাড়ানোর প্রতিযোগিতা করছে। এই যে অর্থ ও সম্পদের দিকে মানুষের নেশা, সে-নেশা তার আত্মবিকাশের পথ সংকীর্ণ করবে। কাজেই আত্মবিনাশের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ওপরে ওঠার সিঁড়ির সন্ধান পাওয়া প্রয়োজন। মনুষ্যত্ব ব্যাপক হারে লোপ পেতে থাকলে আমাদের ধ্বংস সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
সারাংশ লিখন→ ৪
বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের একমাত্র লক্ষ্য অর্থ আর বিত্ত। ফলে মানবিকতার হয়েছে স্খলন। এ মূঢ়তাকে জয় করতে না পারলে মনুষ্যত্বের বিসর্জন হবে। মানুষ এখন স্খলনের সর্বনিম্ন ধাপে, তাই এখন এ থেকে পরিত্রাণের পথ না খুঁজে কোনো উপায় নেই।
সারাংশ লিখন→ ৫
আজকের বিশ্বে মানুষ অন্ধভাবে অর্থ বিত্তের পেছনে ছুটছে । এতে আমাদের আত্মবিকাশের পথ রুদ্ধ হচ্ছে; লোপ পাচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ। এ অবস্থা থেকে আমাদের অবশ্যই উত্তরণের পথ না খুঁজলেই নয়।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৫টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।