সারাংশ: শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করো
শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করো
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ:
শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করো। কালি-ধুলার মাঝে রৌদ্র-বৃষ্টিতে কাজের ডাকে নেমে যাও। বাবু হয়ে ছায়ায় পাখার তলে থাকবার দরকার নেই। এ হচ্ছে মৃত্যুর আয়োজন। কাজের ভিতর কুবুদ্ধি, কুমতলব মন-চিত্তে বাসা বাঁধতে পারে না। কাজে শরীরে সামর্থ্য জন্মে ; স্বাস্থ্য, শক্তি, আনন্দ, স্ফুর্তি সকলই লাভ হয়। পরিশ্রমের পর যে অবকাশ লাভ হয়, তা পরম আনন্দের অবকাশ। তখন কৃত্রিম আয়োজন করে আনন্দ করবার কোনো প্রয়োজন হয় না। শুধু চিন্তার দ্বারা জগতের হিত সাধন হয় না। মানবসমাজে মানুষের সঙ্গে কাজে, রাস্তায়, কারখানায় মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে মানুষ নিজেকে পূর্ণ করে।
উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৪টি সারাংশ দেওয়া হল:সারাংশ লিখন→ ১
কোনো কাজকেই ছোটো করে দেখা উচিত নয় অলসতা হৃদয়ের মৃত্যুকে ডেকে আনে। কাজের মাধ্যমে মানুষ শরীরিকভাবে সমর্থ হয় এবং আনন্দ লাভ করে। কাজের পরবর্তী যে অবসর তার আনন্দ অতুলনীয়। কাজের মাধ্যমে অন্যের সাথে সুব্যবহার করে মানুষ নিজেকে পূর্ণ করে।
সারাংশ লিখন→ ২
আলস্য মানবজীবনের মৃত্যু ডেকে আনে আর কাজ জীবনকে সুন্দর করে তোলে। শুধু চিন্তা দিয়ে জগতের হিত সাধন হয় না বরং চিন্তার সঙ্গে যখন কর্ম যোগ হয় তখনই মানব কল্যাণ সাধিত হয়, সুন্দর হয় বিশ্বজগৎ ।
সারাংশ লিখন→ ৩
সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে কঠোর শ্রম। স্বাস্থ্য শক্তি, আনন্দ-এ সবের মূলেই আছে শ্রম। পাশাপাশি শ্রমবিমুখ হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কেবল চিন্তা দ্বারা জগতের কল্যাণ সাধিত হয় না। চিন্তার সঙ্গে কাজের তথা পরিশ্রমের প্রয়োজন। তাহলে জীবনে আসবে পরিপূর্ণতা, অনিবার্য হয়ে ধরা দেবে সাফল্য।
সারাংশ লিখন→ ৪
শ্রম মানুষের সামগ্রিক উন্নতি বয়ে আনে। শ্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যায় না। চিন্তা ও বই জ্ঞানের যে দ্বার উন্মোচন করে, তা পূর্ণতা পায় কায়িক শ্রমে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৫টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।
إرسال تعليق