সারাংশ: কিসে হয় মর্যাদা ? সারাংশ লেখার নিয়ম
কিসে হয় মর্যাদা ? দামি কাপড়, গাড়ি, ঘোড়া ও ঠাকুরদাদার কালের উপাধিতে?
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ:
কিসে হয় মর্যাদা ? দামি কাপড়, গাড়ি, ঘোড়া ও ঠাকুরদাদার কালের উপাধিতে? – মর্যাদা এইসব জিনিসে নাই। আমি দেখতে চাই তোমার ভিতর, তোমার মাথা দিয়ে কুসুমের গন্ধ বেরোয় কিনা। তোমায় দেখলে দাসদাসী দৌড়ে আসে। প্রজারা তোমায় দেখে সন্ত্রস্ত হয়, তুমি মানুষের ঘাড়ে চড়ে হাওয়া খাও, মানুষকে দিয়ে জুতা খোলাও, তুমি দিনের আলোতে মানুষের টাকা আত্মসাৎ কর। বা-মা-শ্বশুর-শাশুড়ি তোমায় আদর করেন। আমি তোমায় অবজ্ঞায় বলব- যাও।
উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৫টি সারাংশ দেওয়া হল:সারাংশ লিখন→ ১
যারা সত্যের উপাসক, চরিত্রবান ও মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন তারাই জীবনে সত্যিকার মর্যাদা লাভ করে। অর্থবিত্ত, বাড়ি, গাড়ি বংশ গৌরবের ওপর মর্যাদা নির্ভর করে না। মানুষের মর্যাদা নির্ভর করে মহৎ মানবিক গুণাবলির ওপর।
সারাংশ লিখন→ ২
সমাজে মানুষের মর্যাদা অর্থ-সম্পদ, ক্ষমতা, আভিজাত্য ইত্যাদি দ্বারা নির্ধারিত হয় না। মিথ্যা আভিজাত্য, অহমিকা, অর্থলোভ, দুশ্চরিত্র ইত্যাদি মানুষকে অবজ্ঞার পাত্রে পরিণত করে।
সারাংশ লিখন→ ৩
অর্থ, বিত্ত, বংশমর্যাদা ও শক্তির দাপট মানুষকে দাম্ভিক ও অহংকারী করে। তা মানুষকে কখনো মর্যাদার অধিকারী করে না। মানুষের মর্যাদা নির্ভর করে মহৎ মানবিক গুণাবলির ওপর। সত্যের সাধনায় উদ্ভাসিত চরিত্রবান মানুষরাই জীবনে প্রকৃত মর্যাদার অধিকারী হন।
সারাংশ লিখন→ ৪
ধন-সম্পদ আর প্রতাপ-প্রতিপত্তির প্রভাবে সমাজে মানুষের মর্যাদা বাড়ে না। সত্যের উপাসক ও সচ্চরিত্রবান মানুষই মর্যাদাশীল।
সারাংশ লিখন→ ৫
অর্থ-বিত্ত, বংশগরিমা, প্রতাপ-প্রতিপত্তি মানুষকে করে তোলে দাম্ভিক ও অহংকারী। তাতে প্রকৃত মর্যাদা অর্জিত হয় না। চরিত্রবান, সত্যবাদী মানুষ ও জ্ঞানী-গুণীজনরাই মহৎ গুণাবলির শক্তিতে জীবনে প্রকৃত মর্যাদার অধিকারী হন।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৫টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।
إرسال تعليق