কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্যকরবার ইচ্ছা
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ:
কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্য করবার ইচ্ছা যদি তোমার থাকে তাহলে সব বই ধ্বংস কর এবং সকল পণ্ডিতকে হত্যা কর, তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। লেখক, সাহিত্যিক ও পণ্ডিতেরাই জাতির আত্মা। এই আত্মাকে যারা অবহেলা করে তারা বাঁচে না। দেশকে বা জাতিকে উন্নতি করতে ইচ্ছা করলে সাহিত্যের সাহায্যেই তা করতে হবে। মানব মঙ্গলের জন্য যত অনুষ্ঠান আছে, তার মধ্যে এটাই প্রধান ও সম্পূর্ণ। জাতির ভিতর সাহিত্যের ধারা সৃষ্ট কর, আর কিছুর আবশ্যক নাই।
উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৫টি সারাংশ দেওয়া হল:সারাংশ লিখন→ ১
মানব-কল্যাণের উৎস হলো সাহিত্য ও সংস্কৃতি আর লেখক ও সাহিত্যিকরা জাতির আত্মা। একটি সভ্য জাতিকে অসভ্য বা ধ্বংস করতে চাইলে সব বই ধ্বংস এবং সাহিত্যিক ও পণ্ডিতদের হত্যা করলেই হলো। এ সাহিত্যিক-সমাজকে ধ্বংস করলেই উন্নত শীৰ্ষ জাতি ধ্বংস হয়ে পড়েব।
সারাংশ লিখন→ ২
কোনো সভ্য জাতির উন্নয়নের প্রধান মাপকাঠি হলো, তাদের সাহিত্য অনুশীলন ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। মূলত বুদ্ধিজীবীরাই জাতির প্রাণ। তাই জাতির কল্যাণের জন্য উন্নত সাহিত্যের ধারা সৃষ্টি করতে হবে। আর তার জন্য দরকার বুদ্ধিজীবীদের বাঁচিয়ে রাখা ।
সারাংশ লিখন→ ৩
সাহিত্য জাতির প্রাণশক্তি । লেখক , সাহিত্যিক ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা জাতির বিবেক ও আত্মা । দেশ ও জাতির উন্নতি এদের ওপরই নির্ভরশীল । সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের জাতীয় সম্পদরূপে মূল্যায়ন না করলে জাতীয় উন্নতি ও মানবকল্যাণ ব্যাহত হয় ।
সারাংশ লিখন→ ৪
সাহিত্য জাতির প্রাণশক্তি। তেমনি লেখক, সাহিত্যিক ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা জাতির বিবেক ও আত্মা। সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের জাতীয় সম্পদ রূপে মূল্যায়ন না করলে জাতীয় উন্নতি ও মানবকল্যাণ ব্যাহত হবে।
সারাংশ লিখন→ ৫
বই ও পণ্ডিতজনেরাই হলো একটা জাতির প্রাণশক্তি। দেশ ও জাতির প্রাণকে জাগাতে হলে এ দুয়ের প্রতি ভক্তি ও অনুশীলন বৃদ্ধি করতে হবে। সাহিত্যের বিকাশ এবং বিজ্ঞজনের সংখ্যা যত বিকশিত হবে জাতি তত বেশি উন্নত হবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৫টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।