অতীতকে ভুলে যাও।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদ:
অতীতকে ভুলে যাও। অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে। অতীতের কথা ভেবে ভেবে অনেক বোকাই মরেছে। আগামীকালের বোঝা অতীতের বোঝার সঙ্গে মিলে আজকের বোঝা সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যৎকেও অতীতের মত দৃঢ়ভাবে দূরে সরিয়ে দাও। আজই তো ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ কাল বলে কিছু নেই। মানুষের যুক্তির দিন তো আজই। আজই ভবিষ্যতের কথা যে ভাবতে বসে সে ভোগে শক্তিহীনতায়, মানসিক দুশ্চিন্তায় ও স্নায়বিক দুর্বলতায়। অতএব, অতীতের এবং ভবিষ্যতের দরজায় আগল লাগাও আর শুরু কর দৈনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে।
সারাংশ লিখন→১
অতীতের ব্যর্থতার জন্য আফসোস করে বর্তমানকে নষ্ট করা উচিত নয়। বরং বর্তমানকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত সবচেয়ে বেশি। কারণ, আজকের সাধনাই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে বিনির্মাণ করবে। কারণ হতাশা জীবন শক্তিকে নিঃশেষিত করে।
সারাংশ লিখন→২
অতীত ও ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবলে বিভকালাই বাজে । অতীতের ব্যর্থতার দুশ্চিন্তা আর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকলে বর্তমানও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সবচেয়ে বেশি দরকার বর্তমানকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো, তাহলেই ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর। বস্তুত কার্যকর বর্তমানই গড়ে তোলে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ।
সারাংশ লিখন→৩
অতীত ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে জীবন কাটায়, তারা নির্বোধ ; তারা মার নানা দুশ্চিন্তায় ভোগে। বর্তমানকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানের মাঝেই রয়েছে মানুষের সমৃদ্ধি ও যুক্তি । তাই অতীত ও ভবিষ্যতের কথা না ভেবে বর্তমানকেই উচিত।
সারাংশ লিখন→৪
বর্তমানই মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। অতীত এবং ভবিষ্যৎকে নিয়ে অত্যধিক চিন্তা-ভাবনা বর্তমানকে শক্তিহীন, হতাশাময় ও দুর্বল করে ফেলে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরুক্ত প্রদত্ত অনুচ্ছেদের পরিপেক্ষিতে যে ৪টি সারাংশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তোমাদের পছন্দমত যেকোন একটি মুখস্থ করবে।