সিকান্দার মাঝি
নিম্নোক্ত ইঙ্গিত অবলম্বনে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা করো :
ছুটিতে নানুবাড়ি এসেছে আনন্দ । পড়ন্ত বিকেলে সে দাঁড়ায় তার স্মৃতি বিজড়িত নদীটির তীরে..........
ছুটিতে দাদুবাড়িতে এসেছে আনন্দ । পড়ন্ত বিকেলে সে দাঁড়ায় তার স্মৃতিবিজড়িত নদীটির তীরে । রোদের সোনালি আলোয় নদীর ঢেউগুলো ঝিকমিক করছে । আনন্দ মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকে নদীর দিকে । পালতোলা নৌকাগুলো ছুটে চলে ঢেউয়ের তালে তালে । মাঝিরা গান গায় । নিলুয়া বাতাসে গানের সে সুর ভাসিয়ে নিয়ে যায় দূরে । সবুজ বৃক্ষগুলোর ওপর পাখিদের দস্যুপনা , আর কলকাকলীতে মুখরিত নদীর তীর । নদীর তীরে এ দৃশ্য যেন চিরায়ত । এসব দেখতে দেখতেই আনন্দ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে । সেদিনের কথা মনে পড়লে আনন্দের মনে কেমন যেন একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয় । অনেক দিন আগের কথা । এ রকম এক বিকেলে দাদুর সাথে বেড়াতে আসছিল আনন্দ । তখন সে বেশ দুষ্ট ছিল । নদীর তীরে এসেই যে লাফালাফি আরম্ভ করেছিল । দাদুর নিষেধ সত্ত্বেও সে দুষ্টুমি করতে থাকে । পরিচিত লোকদের সাথে আলাপ জমে ওঠায় আনন্দের দিকে খেয়ালটা কমে আসে ওর দাদুর । হঠাৎ করেই একটা চিৎকারের শব্দ । ঝুপপুস শব্দে আনন্দ নদীতে পড়ে গেল । লোকজন জড়ো হয়ে সবাই চিৎকার করলেও তাকে উদ্ধার করতে কেউ আসে না । এ সময় সিকান্দার মাঝি আনন্দকে নদীর পানিতে হাবুডুবু অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে । সিকান্দার মাঝির এই উপকারের কথা আনন্দ ভুলতে পারে না ।