Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

নিরপেক্ষ বিচার ইসলামী গল্প

ইমাম আযম আবু হানিফা রহ .। ইসলামী আইন বা ফিকাহ শাস্ত্রের দীর্ঘ ইমাম হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও পরিচিতি রয়েছে তাঁর ।

নিরপেক্ষ বিচার


ইমাম আযম আবু হানিফা রহ .। ইসলামী আইন বা ফিকাহ শাস্ত্রের দীর্ঘ ইমাম হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও পরিচিতি রয়েছে তাঁর । অবশ্য তিনি যে একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ , শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ , সফল  অর্থনীতিবিদ , মহান সমাজ সংস্কারক ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক তাতেও কোনাে সন্দেহ নেই । তাছাড়া তিনি ছিলেন সুযােগ্য ছাত্র এবং নির্ভীক ও সুদৃঢ় মনােবলসম্পন্ন মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর ।

ইমাম আযম রহ .খুব ভালাে করে জানতেন যে , শুধু আইন প্রণয়ন করলেই সমাজে তা বাস্তবায়িত হয় না । বরং আইন প্রয়ােগের জন্য প্রয়ােজন যােগ্যতাসম্পন্ন লােক , নিষ্ঠাবান মানুষ । তাই তার আইন সংসদের মাধ্যমে তিনি একদল যােগ্যলােক গড়ে তােলার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন এবং কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।

উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য হৃদয়ভরা ভালবাসা আর একবুক ব্যথা ছিল  ইমাম সাহেবের । উম্মতের করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে তার অন্তর কেঁপে ওঠত । দু’গণ্ড বেয়ে ঝরে পড়ত অশ্রুমালা । কেননা তিনি রাষ্ট্রীয় অনিয়ম , সামাজিক অনাচার ও সীমাহীন দুর্নীতির ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী । তিনি দিবালােকের ন্যায় পরিস্কার ও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন যে , উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকগােষ্ঠী ক্রমে ক্রমে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম । সর্বত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে এক চরম বিশৃংখলা । বিশেষ করে বিচার ও অর্থ ব্যবস্থায় যে চরম অনিয়ম দৃষ্টিগােচর হচ্ছে তা দেখে কোনাে বিবেকবান মানুষ স্থির থাকতে পারে না । বিচার ব্যবস্থা এমন কুলষিত হয়েছিল যে , ইনসাফ বা ন্যায়বিচার পাওয়া ছিল খুবই দূরহ ব্যাপার । উমাইয়া শাসকরা খেলাফতে রাশেদার আদর্শ থেকে সরে দুর্নীতির পথে পা বাড়ায় । আর আব্বাসীয় শাসনামলে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি গিয়ে পৌছে চূড়ান্ত পর্যায়ে । বিচারকদের কোনাে স্বাধীনতা ছিল না ।

শাসকদের মর্জি মােয়াফেক পরিচালিত হতাে বিচার কার্য । এই অবস্থার আমূল পরিবর্তন ও খেলাফতে রাশেদার আদর্শকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই ইমাম আবু হানিফা রহ , যােগ্য লােক গড়ে তােলার প্রয়ােজনীয়তা আরাে তীব্রভাবে অনুভব করেন।

নিরন্তর সাধনা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে ইমাম সাহেবের এ পরিকল্পনা পূর্ণ সফলতা লাভ করে । তৈরি হয় একদল যােগ্য লােক । এরা ছিল সব বিষয়ে সমান পারদর্শী । রাষ্ট্র পরিচালনার যে কোনাে কাজ সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেওয়া তাদের পক্ষে মােটেও কোনাে কঠিন ব্যাপার ছিল না । ইমাম সাহেবের নিজ হাতে গড়া এ লােকগুলাে যে কী পরিমান যােগ্য ও দক্ষ ছিল , তা তাদের পরবর্তী কালের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ঘটনাবলীর দ্বারা সহজেই অনুধাবন করা যায় । রাষ্ট্রীয় কাজের সুযােগ যখন তাদের আসে , তখন তারা কতটা সতর্ক ও নিরপেক্ষ ছিলেন , কতটা নিঃস্বার্থ ও নির্ভীক ছিলেন ; নিম্ন বর্ণিত কয়েকটি ঘটনাই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ । মুহতারাম পাঠক - পাঠিকা ! আসুন আমরা ঘটনাগুলাে মনােযােগ সহকারে পাঠ করি এবং নিজের জীবনে এবং পরিবার , সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি ।

বাদশাহ হারুনুর রশীদেরসর্বাধিক প্রিয় এবং অত্যধিক আদরের স্ত্রী ছিলেন যুবাইদা। বাদশাহ তাঁকে প্রাণভরে ভালােবাসতেন । মায়া - মমতা আর স্নেহের ছায়ায় সারাক্ষণ ডুবিয়ে রাখতেন । যুবাইদার আশা - আকাঙ্ক্ষা ও আবদারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পূর্ণ করার চেষ্টা করতেন । সর্বদাই খেয়াল রাখতেন , যুবাইদা যেন কোনাে কারণে মনে কষ্ট না পায় ।

যুবাইদার ছিল এক একান্ত চাকর । একদিন সে এক লােক থেকে ঋণ হিসেবে ত্রিশ হাজার দিনার গ্রহণ করে । সেই সাথে এই ঋণ কখন পরিশােধ করবে তাও বলে আসে । এরপর সময় অতিবাহিত হয় তার আপন গতিতে । চলতে চলতে টাকা পরিশােধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় । ঋণদাতা নির্ধারিত দিনে টাকা পাওয়ার আশায় বসে থাকে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আশাহত হয় । আশাহত হবে না কেন ! চাকর বেটা তাে ঋণের টাকা পরিশােধ করতে যায় নি , এমনকি যাওয়ার ইচ্ছাও করে নি । এরপর অতিবাহিত হয় আরও কয়েক দিন । তারপর কয়েক সপ্তাহ , তারপর কয়েক মাস । এর মধ্যে ঋণদাতা কয়েকবার এসে ঋণগ্রহীতা চাকরটিকে ঋণ পরিশােধের জন্য তাগাদা দেয় । কিন্তু চাকর বেটা দেব দিচ্ছি বলে আজও সে ঋণের একটি দিনারও পরিশােধ করে নি । সে কেবল এটা সেটা বলে টালবাহানা করতে থাকে । এভাবে বহুবার তাগাদা দেওয়ার পরও যখন ঋণদাতা তার ঋণের অর্থ আদায় করে নিতে সক্ষম হয় নি , তখন সে টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে পড়ে । তাই শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না দেখে সে স্থানীয় বিচারালয়ে অভিযােগ দায়ের করতে বাধ্য হয় ।

লােকটি যখন অভিযােগ দায়ের করে তখন সেখানে বিচারের দায়িত্ব পালন করছিলেন ইমাম আবু হানিফা রহ .এর হাতে গড়া ছাত্র কাজী হাফস ইবনে গিয়াস রহ . । যিনি ছিলেন ইমাম সাহবের প্রতিষ্ঠিত আইন সংসদের চল্লিশজনের একজন।

অভিযােগ উত্থাপিত হওয়ার পর হাফস ইবনে গিয়াস রহ . যুবাইদার চাকরকে আদালতে তলব করলেন । যথাসময়ে চাকর আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করলেন , তােমার বিরুদ্ধে আদালতে যে অভিযােগ উত্থাপিত হয়েছে তা কি সত্য ? জবাবে চাকরটি স্বীকারােক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করলে বিচারক অনতিবিলম্বে ঋণ পরিশােধ করার নির্দেশ দেন ।

চাকরটির মনে ছিল সীমাহীন অহংকার । সে মনে করত , আমি বাদশাহের স্ত্রী যুবাইদার চাকর । আমি যদি টাকা না দেই তাহলে কাজী হাফস আইনের মাধ্যমে আমাকে কিছুই করতে পারবেন না । তাই সে টাকা পরিশােধ করতে সরাসরি অস্বীকার করে বসল।

কাজী হাফস রহ . চাকরের উদ্ধতভাব প্রত্যক্ষ করে যার পর নাই বিস্মিত হলেন । মনে মনে বললেন , রাণীর চাকর বলেই কি এত বড় স্পর্ধা ! এত বেশি অহংকার !! মনে রেখাে , কাজী হাফস বাদশাহ রাণী কাউকেই ভয় পায় না । সে ভয় পায় - সেই মহান আল্লাহকে যিনি সকল বাদশাহের বাদশাহ । যিনি সর্ব শক্তিমান, যার ক্ষমতার সামনে কোনাে ক্ষমতা চলে না । অবশেষে তিনি বাদীকে লক্ষ্য করে বললেন , টাকা পরিশােধ না করলে তুমি ঋণগ্রহিতার কী শাস্তি প্রত্যাশা কর ? লােকটি বলল , একে গ্রেফতার করে কয়েদখানায় বন্দী করে রাখলেই আমি খুশি হবাে । কাজী হাফস রহ , তৎক্ষণাৎ চাকরটিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন । বললেন , আপাততঃ ওকে জেলখানায় আবদ্ধ করে রাখাে । ওর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে হবে । দেখি ও টাকা দিতে রাজী হয় কিনা।

বিচারকের নির্দেশ পাওয়ামাত্র চাকরটিকে গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হলাে । কিছুক্ষণের মধ্যে এই সংবাদ যুবাইদার কানে পৌঁছলে তিনি হারুনুর রশীদের কাছে গিয়ে অভিযােগের সুরে বললেন , আমার চাকর জানা সত্ত্বেও কাজী হাফস ওর সাথে কঠোর আচরণ করেছেন । গ্রেফতার করে একেবারে কয়েদখানায় আবদ্ধ করে ফেলেছেন আপনি তাড়াতাড়ি এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

স্ত্রীর কথা শুনে বাদশাহ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন । তিনি এখন কী করবেন কিছুই বুঝে ওঠতে পারলেন না । একদিকে প্রিয়তম স্ত্রীর আবদার , আর অপরদিকে ন্যায়পরায়ণ বিচারকের ফয়সালা । স্ত্রীকে খুশি করতে গেলে ন্যায়বিচার ভুলুণ্ঠিত হয় , আর ফয়সালা ঠিক রাখতে গেলে স্ত্রী নাখােশ হয় । ফলে কর্তব্য স্থির করতে বেশ কিছুক্ষণ দ্বিধা - দ্বন্দ্বে ভুগলেন তিনি । কিন্তু অবশেষে স্ত্রীকে খুশি করার দিকটিকেই প্রাধান্য দিলেন । তিনি কাজী হাফস ইবনে গিয়াস রহ . এর কাছে এই মর্মে একটি পত্র লিখলেন- আশা করি আপনি যুবাইদার চাকরকে কয়েদমুক্ত করে দিয়ে ব্যাপারটির একটা রফাদফা করে দিবেন । বাদশাহ হারুনুর রশীদ চিঠি লিখে শেষ করে তা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য মনস্থ করলেন । কিন্তু কাজী হাফস ইবনে গিয়াসের হাতে চিঠি পৌঁছার পূর্বেই তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলেন যে , চাকরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমীরুল মুমেনীনের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসছে । তাই তিনি মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে মামলার বাদীকে আদালতে তলব করলেন । বললেন , তুমি এক্ষুণি তােমার সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করাে।

নির্দেশ মােতাবেক বাদী তার সাক্ষী পেশ করল । কিন্তু চাকরটিকে আদালতে হাজির করে টাকা পরিশােধের জন্য পুনরায় নির্দেশ দিলে সে আগের মতই উগ্র মনােভাব প্রদর্শন করে টাকা পরিশােধ করতে অস্বীকার করে বসল । বলল , আমি ঋণ হিসেবে টাকা নিয়েছি ঠিক , কিন্তু আমি কখনােই তা পরিশােধ করব না । উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে কাজী হাফস ইবনে গিয়াস রহ.তার অধিনস্থ কর্মকর্তাকে মামলায় রায় লিখতে বললেন । যা ঘােষিত হবে একটু পরেই।

রায় লেখা প্রায় শেষের দিকে । ঠিক এমন সময় বাদশাহ হারুনুর রশীদের দূত কাজী সাহেবের দরবারে চিঠি নিয়ে উপস্থিত হলাে । বলল , হুজুর ! এই নিন বাদশাহের পক্ষ থেকে প্রেরিত চিঠি । কাজী সাহেব তাে আগেই জানেন যে , এই চিঠিতে কী লিখা আছে । তাই তিনি দূতকে লক্ষ্য করে বললেন , একটু অপেক্ষা করাে । আমি আমার কাজটা সেরেই চিঠি পড়ছি।

দূত বলল , হুজুর ! খুবই জরুরী চিঠি । আগে এটি পাঠ করে তারপর আপনার কাজ করুন।

উত্তরে কাজী সাহেব কঠিন কণ্ঠে বললেন , আমি তােমাকে অপেক্ষা করতে বলছি । অপেক্ষা করাে । খামাখা কথা বাড়িও না।

দূত বেচারা কী আর করবে ! অগত্যা সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল।

ইতােমধ্যে কাজী হাফস ইবনে গিয়াস রহ . স্বীয় আসনে উপবিষ্ট হলেন । অতঃপর গম্ভীর কণ্ঠে রায় পাঠ করে শােনালেন । রায়ে তিনি চাকরকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করলেন।

রায় পাঠ করে শােনানাের পর কাজী সাহেব দূতের দিকে তাকিয়ে বললেন , দাও । এবার তােমার চিঠি দাও । দেখি কী লেখা আছে তাতে!

দূত বেচারা কাজী সাহেরেব কাছে চিঠি হস্তান্তর করল । কাজী সাহেব চিঠি পড়ে বললেন , রায় তাে ঘােষণা হয়ে গেছে । এখন আর আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয় । রায় প্রদানের পূর্বে হলে হয়তাে বিবেচনা করে দেখা যেত । দূত বলল , আমি তাে রায় প্রদানের পূর্বেই আপনার খেদমতে হাজির হয়ে চিঠি দিতে চেয়েছিলাম , কিন্তু আপনি তা পাঠ করলেন না । আমি বাদশাহকে বলব , রায় দেওয়ার আগেই আমি কাজী সাহেবের দরবারে উপস্থিত হয়ে ছিলাম । কিন্তু তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই তা পাঠ করেন নি ।

জবাবে কাজী নির্ভীক কণ্ঠে বললেন , ঠিক আছে তুমি তাই বলাে । দূত চলে গেল । কাজী হাফস ইবনে গিয়াস রহ . মনের মধ্যে এক গভীর প্রশান্তি অনুভব করলেন । মনে মনে বললেন , কৌশল অবলম্বন করে হলেও আমি ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হয়েছি । সমর্থ হয়েছি  অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তির রায় শােনাতে । এখন আর আমার মনে বিন্দুমাত্র আফসােস নেই । দুঃখ নেই সামান্য পরিমানও । ন্যায়বিচারের স্বার্থে কৌশল গ্রহণ করার কারণে যদি জীবনও আমার হুমকীর সম্মুখীন তাতেও কোনাে পরওয়া নেই আমার । কারণ আমি আমার দায়িত্ব পূর্ণরূপেই পালন করেছি । মহাপ্রভুর দরবারে গিয়ে এজন্য আমাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না । হে রাহমানুর রাহীম ! তােমার দরবারে হাজারাে শােকর । দূত বেচারা বাদশাহের কাছে এসে সবকিছু খুলে বলল । বাদশাহ সবকিছু শুনে কাজী হাফস ইবনে গিয়াসের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করলেন । সেই সাথে তার বুদ্ধিমত্তায় দারুণ খুশি হলেন । উপস্থিত লােকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন , বিচারক তাে এমনই হওয়া চাই । যার ন্যায়নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতা সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় । ( সূত্রঃ ফাতাওয়ায়ে জামেয়া , ৩ য় খণ্ড , পৃষ্ঠা: ৩৩-৩৪ )

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

© Abc Ideal School. All rights reserved. Developed by Jago Desain