হাসপাতালের চিকিৎসার অবস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন
আলোচ্য বিষয়শিরোনাম : ' ক '(নিজ জেলার নাম) জেলা সদর হাসপাতালে অন্তহীন সমস্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ' ক ' জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য স্থান সদর হাসপাতালটি বর্তমানে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত । বাস্তব অবস্থা দেখে মনে হয় এ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা পাওয়া তো দূরের কথা , রোগাক্রান্ত হাসপাতালটিরই আজ চিকিৎসার প্রয়োজন ।
হাসপাতালটিতে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় নানাপ্রকার সমস্যা , দুর্নীতি , অব্যবস্থার ভয়ানক চিত্র । পাকিস্তান আমলে প্রথমে ৫০ শয্যাসহ এই হাসপাতালটির যাত্রা শুরু করা হয় । স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধাপে হাসপাতালটিকে ২ শ শয্যায় উন্নীত করা হয় । হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যাই কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে । চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি তো দূরের কথা দিনে দিনে তা আরো অবনতি হচ্ছে । সদর থানাসহ পার্শ্ববর্তী থানাগুলোর অন্তত ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র নির্ভরযোগ্যস্থল হিসেবে হাসপাতালটিতে শয্যা সংখ্যা খুবই নগণ্য । বর্তমানে যে শয্যাগুলো আছে সেগুলোর দশাও জীর্ণ । প্রয়োজনমতো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় প্রায় অর্ধেক শয্যা ভেঙে পড়ে আছে । ফলে শয্যার অভাবে দূর - দূরান্ত থেকে আগত দরিদ্র রোগীরা ভর্তি হতে পারছে না ।
আউটডোরের অবস্থাও করুণ । প্রতিদিন প্রায় ৫ / ৬ শ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে । কিন্তু আউটডোরে ডাক্তার সংখ্যা কম হওয়ায় রোগীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে চলে যেতে হয় । হাসপাতালের বেশ কিছু স্বনামধন্য ডাক্তার উচ্চ শিক্ষার্জনে বিদেশে অবস্থান করছেন । এছাড়া চিকিৎসকের শূন্যপদগুলো দীর্ঘদিন ধরে পূরণ করা হচ্ছে না । আয়া - ঝাড়ুদারসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না । সমস্ত হাসপাতালে বিশ্রী দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে । কর্মচারীরা তাদের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । যেখানে - সেখানে ময়লা জমে হাসপাতালটি রোগজীবাণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ।
হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধ সরবরাহ হয় অতি নগণ্য । তার ওপর অধিকাংশ ওষুধ ডাক্তার - কর্মচারীরা কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । ফলে জরুরি সময়ে অনেক রোগীই সরকারি ওষুধ পায় না । ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে , তারা হাসপাতালে রোগী দেখার চেয়ে চেম্বার বা ক্লিনিকে প্র্যাকটিস নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন । হাসপাতালে একশ্রেণির দালালের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় যারা সরল - সহজ রোগীদের প্রতারণার মাধ্যমে ক্লিনিকসমূহে ভর্তি হতে বাধ্য করছে ।
অপরদিকে হাসপাতালের একমাত্র এম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে । এক্স - রে মেশিন ও ল্যাবরেটরির অধিকাংশ সরঞ্জামই বিকল এবং সেগুলো অযত্নে পড়ে আছে । এ কারণে জরুরি প্রয়োজনেও রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো করানো সম্ভব হচ্ছে না । ফলে সুবিধাভোগী দালাল শ্রেণি রোগীদের বাইরের পরীক্ষাগারে যেতে বাধ্য করছে এমনকি সঠিক সময়ে পরীক্ষানিরীক্ষা না করার কারণে অনেক রোগীর অকালমৃত্যু ও ঘটছে ।
‘ ক ’ জেলা সদর হাসপাতালে আরও অনেক সমস্যা বিরাজ করছে । যেমন— স্টাফ কোয়ার্টার সংকট , সীমানা প্রাচীরের বেহাল অবস্থা ইত্যাদি । স্থানীয় জনগণ দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান প্রত্যাশা করে ।
- তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ / প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো ।
- ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত এলাকার একটি গ্রামের চিত্র তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন লিখো।
- পরীক্ষা কেন্দ্রে গোলযোগ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করো ।
- একুশের বইমেলা সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো ।
- “পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ ” এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো ।