Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ( দিনলিপি লিখন)

বিজয় দিবসটি আজ অসাধারণ কাটালাম । আমাদের জাতীয় দিবসগুলাে কেন জানি কাকতালীয়ভাবে ক্রমান্বয়ে মেলানাে ।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন ( দিনলিপি লিখন)

বিজয়ের দিনলিপি ১৯৭১


১৭.১২.১৯৭১ । চট্টগ্রাম ।

এর মধ্যে খবর সর্বত্র রাষ্ট্র হয়ে গেছে । দেশ এখন স্বাধীন । সারা দেশ উল্লসিত । ছেলে - বুড়াে , মেয়ে - পুরুষ সবাই ফেটে পড়েছে বাঁধ ভাঙা আনন্দে । বন্ধুরা ছুটে এসেছেন দেখা করতে । বাঁশবাড়িয়ার এক কালের জমিদার - নন্দন বিনােদ চৌধুরী দুই বাতু দিয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন । সে কান্নায় মিশে আছে বেদনা আর আনন্দ । তার নিকট আত্মীয়দের কাহাকে কাহাকেও মেরে ফেলা হয়েছে , তার ঘর - বাড়ি এখন অন্যের দখলে ।

তরুণ বুদ্ধিজীবীরা ছুটে এসে বললে মিছিল করতে হবে , বিজয় মিছিল । দেরি করা যাবে না । আজ বিকেলেই । তথাস্তু । ওরাই ঠিক করলাে । আমার এখানে এসেই জমায়েত হবে সবাই । সাহিত্য নিকেতন থেকেই শুরু হবে মিছিল । মুখে মুখে ঘােষণা ছড়িয়ে পড়ল সেভাবে । বিকেল হতে হতে বিপুল ছাত্র - জনতা এসে জড়ো হলাে সাহিত্য নিকেতনের সামনে । কোথা থেকে শতাধিক মেয়ে এসেও জুটল । হঠাৎ স্নেহভাজন বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী এসে বলল , আমাদের মুক্তিযােদ্ধারা এসে পড়েছে , ওরাও মিছিলে শরিক হতে চায় সশস্ত্র অবস্থায় । আপনার অনুমতির অপেক্ষায় । নয় মাস পরে ওর সঙ্গে দেখা । জড়িয়ে ধরে বললাম । নিশ্চয়ই , আমার সানন্দ সম্মতি রয়েছে ।

কয়েক শ তরুণ মুক্তিযােদ্ধা মিশে গেল আমাদের মিছিলে । ওদের কাঁধে রাইফেল , পরনে ইউনিফর্ম । এর মধ্যে মিছিল এত দীর্ঘ হয়ে গেছে যে , এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখা যায় না । সাহিত্য নিকেতন থেকে শুরু হলো মিছিলের পদযাত্রা । এনায়েত বাজার হয়ে স্টেশন ঘুরে নিউ মার্কেটের সামনে যখন পৌঁছেছি তখন দাবি উঠল বক্তৃতা দেওয়ার । মাইকে দু - চার কথা বললাম । অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আর তরুণ কর্মী মাহবুবুল হক এবং আরও কেউ কেউ জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে মাইক প্রায় ফাটিয়ে ফেলল । এরপর জেনারেল পোেস্ট অফিস আর স্টেট ব্যাংকের সামনে দিয়ে লালদিঘির ময়দানে এসে যখন পৌঁছেছি তখন বিরাট এ গণজমায়েতের মাঝখানে আমরা ।

ময়দান ভর্তি জনতা । রাস্তা আর পাহাড়ের ঢালুতেও তিল ধারণের জায়গা নেই । তরুণ মুক্তিযােদ্ধারা খুশির চোটে বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজ করে প্রকাশ করতে লাগল ওদের অদম্য উল্লাস । এর মধ্যে কে বা কারা মাইক এনে আমার সামনে এনে দিয়েছে খাড়া করে । বেশি করে । বলতে হলাে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা । সেই সঙ্গে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুজিব নগরে গৃহীত রাষ্ট্রীয় চাৱ নীতির কথাও ।

[ফজলের ‘ দুদিনের দিনলিপি থেকে সংকলিত]


১ লা জানুয়ারি , বুধবার ২০১৪

আজ ইংরেজি বর্ষের প্রথমদিন । সাধারণ দিনগুলাের চেয়ে আজকের দিনটি আমার কাছে বিশেষ একটি দিন । রাত বারােটার পর থেকেই বন্ধুবান্ধবের সাথে শুরু হয়েছিল ক্ষুদে বার্তায় শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের উৎসব । তারপর ভােরে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি নামাজ পড়লাম । সকালবেলা মায়ের ডাকে নাস্তা সেরে আমার রুমে ফিরে এলাম । মনটা আজ ভীষণ ভালাে । সকাল দশটায় পান্না ও সুমন আসলাে আমাদের বাসায় । আমরা তিনজন মিলে দুপুর পর্যন্ত গিটারে সুর তুললাম । এর মধ্যে মা রান্নাবান্না শেষ করে আমাদের খেতে ডাকলেন । সবাই মিলে দুপুরের খাবার শেষ করলাম । দুপুরের রােদ নরম হতেই তিন বন্ধু মিলে চলে গেলাম হাদিস পার্কে । সেখানে অনেক মজা করলাম । রাত হতেই মনে পড়ে গেল পূর্বের রাতের স্মৃতি । গত রাতে বর্ণিল আলােয় সেজেছিল ঢাকা শহর আর আকাশ সেজেছিল রঙিন ফানুস , আতস বাজি আর তারাবাজির বর্ণিল উৎসবে ।


ভালো কিছু ভালো ফলাফল প্রাপ্তির সহায়ক তাই গুণ ও মানের প্রশ্নে আমরা সর্বদা সচেতন



তােমার কলেজে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি প্রস্তুত করাে ।

১৬ ডিসেম্বর , ২০১৯
রবিবার রাত ১০ টা ২৫ মিনিট
গােপালপুর , টাঙ্গাইল ।

বিজয় দিবসটি আজ অসাধারণ কাটালাম । আমাদের জাতীয় দিবসগুলাে কেন জানি কাকতালীয়ভাবে ক্রমান্বয়ে মেলানাে । ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস , ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস , আর বছরের শেষ দিকে এসে ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস । বছরটা আমরা শেষ করি বিজয়ীর হাসি হেসে । প্রতিবছরই আসে দিনগুলাে , আর প্রতিবছরই মর্যাদার সাথে দিনগুলাে পালন করি । তবে এবারের বিজয় দিবস আমি কাটালাম নতুন এক পরিবেশে । ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম ।

বন্ধুদের সাথে সকাল থেকে সারা দিন কাটালাম কলেজের অনুষ্ঠানে । অনুষ্ঠানে আলােচনাসভা , মিলাদ মাহফিল , মুক্তিযােদ্ধাদের সংবর্ধনা , স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর , সংগীতানুষ্ঠান , বিভিন্ন প্রতিযােগিতামূলক খেলাধুলা , রচনা প্রতিযােগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয় । আমার সবচেয়ে ভালাে লেগেছে মুক্তিযােদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার অংশটুকু । এতজন গর্বিত সেনানীকে একসাথে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার এবার । তখন যে আমার কত ভালাে লাগছিল তা বলে বােঝাতে পারব না । এক ধরনের অজানা রােমা অনুভব করছিলাম তখন । খেলাধুলা প্রতিযােগিতায় পুরস্কার গ্রহণের সময়টা ছিল আরেকটা শিহরণ জাগানাে অংশ । তিনটি খেলায় অংশ নিয়ে দুটি খেলায় প্রথম স্থান , আর অন্যটিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলাম । আর সেজন্য তিন তিনবার পুরস্কার নিতে যাওয়ার সময় স্যাররা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন , নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছিল তখন । এমনকি আমার কৃতিত্বের কথাটা এখন যখন লিখছি , সেই শিহরণটা কাজ করছে । অসাধারণ অনুভূতি । বিজয় দিবসে বিজয়ীর বেশে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরেছি আজ ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

© Abc Ideal School. All rights reserved. Developed by Jago Desain